
মাওলানা ড. রিজওয়ানুস সালাম খান
৯ই জিলহজ্জ ৬০ হিজরী এক অন্ধকার ইতিহাস, এক রক্তাক্ত সকাল…সালাম ও শ্রদ্ধার অর্ঘ্যআস্-সালামু আলাইকম ইয়া মুসলিম ইব্নে আকীল ইব্নে আবি তালিব।আপনার প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক, হে মুসলিম!
হে সেই আত্মোৎসর্গকারী, যিনি নিজের প্রাণ ও রক্ত দিয়ে সত্যের বীজ বপন করেছিলেন,শহীদ, ফকীহ, নিপীড়িত ও অবহেলিত,যাঁর অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল,
যাঁর পবিত্রতা পদদলিত হয়েছিল ক্ষমতালোভী কুফিয়ানদের হাতে। তোমার প্রতি সালাম হে হুসাইনি দূত!
তুমি ছিলেন ইমাম হুসাইনের বার্তাবাহক, তাঁর আগমনের পথ প্রস্তুতকারী, তাঁর রক্তস্নাত বিপ্লবের প্রথম শহীদ।
শোকের ছায়া: এক কলঙ্কিত অধ্যায় হিজরি ৬০ সনের ৯ই জিলহজ্জ। মিনা ও আরাফার সীমারেখায় যখন হজের তাকবীর প্রতিধ্বনিত, ঠিক সেই সময়,কুফার গভর্নর ওবায়দুল্লাহ ইবনে যিয়াদ ধর্ম, ন্যায় ও মানবতার সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করে হযরত মুসলিম (আ.)-কে নির্মমভাবে হত্যা করে। তাঁর হাত-পা বেঁধে কুফার গভর্নর ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়। রক্তে ভেসে যায় রাজপথ। এটাই ছিল কুফার পক্ষ থেকে ইমাম হুসাইনের (আ.) বিপ্লবের প্রতি প্রথম রক্তাক্ত প্রতিক্রিয়া।
স্মরণ ও শিক্ষা : হযরত মুসলিম (আ.) ছিলেন শুধু একজন দূত নয়—তিনি ছিলেন সত্য, আনুগত্য, বীরত্ব ও আত্মত্যাগের প্রতীক। তিনি প্রমাণ করে গেছেন—
ইমামত ও ন্যায়ের পথে মৃত্যুই শ্রেয়, আর বাতিলের কাছে মাথা নত করা অপমানজনক। আমাদের শোক, আমাদের অঙ্গীকার এই কালো দিনে,নুরুল ইসলাম একাডেমি
আপনাদের সবাইকে জানায় অন্তরের গভীর থেকে শোক ও শ্রদ্ধাঞ্জলি। আসুন, আমরা শহীদ মুসলিম ইবনে আকীল (আ.)-এর আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা নেই।
সত্যের পথে দৃঢ় থাকি, ইমাম হুসাইনের আহ্বানে সাড়া দিই, আর যেখানেই অন্যায় দেখি, সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলি। ❝السلام علیک یا فادی بنفسه و مهجته الشهید الفقیه المظلوم…❞
(সাইয়্যেদ ইবনে তাউস, মিসবাহুয্ যায়ির, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ১০৩) প্রকাশনায়: নুরুল ইসলাম একাডেমি
(শোক দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত ৯ জিলহজ্জ, স্মরণ সংখ্যা) ।