শনিবার, ৯ আগস্ট, ২০২৫
কাদেরী টাইমস কলকাতা মেদিনীপুর সাহিত্য ইসলামিক রাজ্য দেশ আন্তর্জাতিক খেলা সম্পাদকীয় বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ ই – পেপার ও ম্যাগাজিন
ইসলামিককাদেরী টাইমস

কুরআন ও হাদিসের আলোকে মধুর উপকারিতা

ইসলামিক ডেস্ক :

মানুষের জন্য আল্লাহতায়ালার দেওয়া নিয়ামত সমূহের অন্যতম মধু। পবিত্র কুরআন মজীদে মধুকে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। মধুর উপকার সম্পর্কে যাতে মানবসমাজ ভুলে না যায় তারজন্য আল্লাহতায়ালা ‘সূরা নাহল’ (মধুর মক্ষিক) নাযিল করেন। সূরা নাহলের ৬৮ ও ৬৯ নং আয়াতে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেছেন: ‘তোমার প্রতিপালক মৌমাছির ওর অন্তরে ইঙ্গিত ছারা নির্দেশ দিয়েছেন গৃহ নির্মাণ কর পাহাড়ে, বৃক্ষে ও মানুষ যে গৃহ নির্মাণ করে তাতে। এর পর প্রত্যেক ফুল হতে কিছু কিছু আহার কর, অতঃপর তোমার প্রতিপালক তোমার যে পদ্ধতি সহজ করেছেন তার অনুসরন কর। ওর উদর হতে নির্গত হয় বিবিধ বর্ণের পানীয় এতে মানুষের জন্য আছে ব্যাধির প্রতিকার। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল

সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ এ ছাড়া সূরা মোহাম্মাদের ১৫নং আয়াতে বলা হয়েছে: ‘জান্নাতে প্রবাহিত হবে পরিশোধিত মধুর নহর।’

উপরিউক্ত এই আয়াতগুলি থেকে আমরা সহজে বুঝতে পারি, যে ইহকালের জন্য মধু হচ্ছে যেমন মানব দেহের শেফা দানকারী এবং পরকালের জন্য জান্নাতের খাবার। বর্তমানে সমগ্র বিজ্ঞান জগৎ স্বীকার করে নিয়েছে যে, মধু হচ্ছে ওষুধ এবং খুবই পুষ্টিকর খাদ্য। কিন্তু মধু ব্যাধি নিরাময়ে অব্যর্থ এ কথা পবিত্র কুরআনে আজ থেকে প্রায় ১৪শ বছর পূর্বে ঘোষণা করা হয়েছে। মধু এমন একটি ওষুধ বা খাদ্য যার মধ্যে সমস্থ খাদ্যগুণই বর্তমান যেমন মধুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ, ভিটামিন ও বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদান আছে। এ যেন প্রকৃতির এক অমোঘ দান। উপরোক্ত আয়াত সমূহের মধ্যে আল্লাহতায়ালা এই ওষুধ সৃষ্টির কথা উল্লেখ করেছেন। এটা কোনও মানুষের বা কবিরাজের বা হেকিম ও ডাক্তারতগণের সৃষ্টি ওষুধ নয়।

হাদীসের আলোকে মধুর ব্যাবহার

প্রাচীন সভ্যতা থেকেই মধুর ব্যাবহার হয়ে এসেছে। মহানবী মুহাম্মাদ সা.-এর মতে সকল

পানীয় উপাদানের মধ্যে মধু সর্বোৎকৃষ্ট। তিনি বলেন: ‘মধু এবং কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের চিকিৎসা নেওয়া উচিত।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

রাসূলুল্লাহ সা. স্বয়ং সকাল বেলা খালি পেটে মধুর শরবত পান করতেন। যারা নিয়মিত মধুর শরবত পান করতে না পারবে তাদের জন্য তিনি বলেন: ‘যে ব্যক্তি কমপক্ষে মাসে তিনদিন সকাল বেলা মধু চেটে সেবন করবেন। ওই মাসে তার কোনও কঠিন রোগ ব্যাধি হবে না।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, মিশকাতুল মাসাবিহ)

হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন: ‘রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন: ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক মাসে তিনদিন ভোরে মধু চেটে খায় তার কোনও বড় বিপদ হতে পারেনা।’ (ইবনে মাজাহ, বায়হাকী)

রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন: ‘সর্বোত্তম পানীয় হল মধু, উহা হৃদপিণ্ডকে সচল করে এবং বুকের ঠাণ্ডা দূর করে।’

রাসূলুল্লাহ সা. আরও বলেছেন: ‘আল্লাহ র শপথ! যে ঘরে মধু আছে অবশ্যই ফেরেশতাগণ সে ঘরের অধিবাসীদের মাগফেরাত কামনা করে। কোনও ব্যক্তি যদি মধু পান করে তবে যেন তার পেটে লক্ষ ওষুধ স্থির হল এবং পেট হতে লক্ষ রোগ বের হয়ে গেল।’ (মিশকাত)

হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, রাসূল সা. বলেছেন: ‘তোমরা দুটি শেফা দানকারী বস্তুকে নিজেদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় করে নাও। একটি মধু অপরটি কুরআন মাজীদ।’ (মিশকাত)

SHARE

Related posts

‘প্লিজ, রাজনীতির সঙ্গে খেলা গুলিয়ে ফেলবেন না’ – বহরমপুরে এসে বললেন ইউসুফ পাঠান

Admin@sangba

ইরানের প্রেসিডেন্ট রইসির হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ল পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে

Admin@sangba

খানাকুলে মসজিদ ও ইয়াতিম খানা উদ্ভোধনে সানা আহমেদ।

Qadri Times

Leave a Comment

হোম
ট্রেন্ডিং
ভিডিও
ই-পেপার
যোগাযোগ