মুস্তাক আহমেদ :
আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে বলছেনঃ
“- তাই যখন তুমি (কাজ) শেষ করেছ, নিয়োগ দাও -“
(সুরা ইনশিরাহ, আয়াত নং ৭)
এই আয়াতের প্রসংগে ইমাম জাফর আস সাদিক (আঃ) বলেন-
এই আয়াতের ব্যাখ্যা হইল, মহান আল্লাহ তাঁর রসুল (সাঃ)-কে উদ্দেশ্য বলছেন, “হে আমার রাসুল, যখন তুমি হজ্বের যাবতীয় কার্যাদি পালন করিয়া অবসর হইবে তখন আলীকে তোমার পরবর্তী স্থলাভিষিক্ত খলীফা ও ইমামের জন্য মনোনীত করিবে।”
সূত্রঃ শাওয়াহেদুত তানযিল, ২য় খন্ড, পৃঃ ৩৪৯ ।
রসুল (সাঃ) বিদায় হজ্ব থেকে ফেরার পথে গাদীর এ খুম নামক স্থানে মহান আল্লাহর সরাসরি কড়া নির্দেশের পরিপ্রক্ষিতে হযরত আলী (আঃ)-কে ওনার ইন্তেকাল পরবর্তী খলীফা বা ইমাম হিসেবে প্রায় সোয়ালক্ষ্য হজ্ব ফেরৎ হাজী সাহাবাগনের সম্মুখে ঘোষনা দেন। এই ঘোষনাকেই গাদীর ঘোষনা বলা হয়। এ প্রসংগে পবিত্র কোরআনের এই আয়তটির শানে নুযুলঃ
“হে রাসুল, পৌঁছে দাও যা তোমার কাছে অবতীর্ন হয়েছে তোমার প্রভুর কাছ থেকে এবং যদি তুমি তা না কর, তুমি তাঁর রেসালতই পৌঁছে দাও নি এবং আল্লাহ তোমাকে জনতার হাত থেকে রক্ষা করবেন । নিশ্চয়ই আল্লাহ কাফের দলকে পথ দেখান না -“ সুরা আল মায়েদা, আয়াত ৬৭।
গাদীর এ খুমের ঐতিহাসিক ঘটনাটি কমপক্ষে ১১০ জন সাহাবী, ৮৪ জন তাবেঈন, ৩৫৫ জন ওলামা, ২৫ জন ঐতিহাসিকবিদ, ২৭ জন সংগ্রহকারী, ১১ জন ফিকাহবিদ, ১৮ জন ধর্মতাত্বিক, ৫জন ভাষাতাত্বিক বর্ননা করেছেন। সকলেই উক্ত ঘটনাটিকে সহীহ ও মোতাওয়াতের বলেছেন ।
সোয়া লক্ষাধিক হজ্ব ফেরৎ হাজী সাহাবাগনের সম্মুখে রাসুল (সাঃ) এর গাদীর এ খুম ঘোষনা বিষয় বিস্তারিত জানতে হলে নিম্নলিখিত তথ্য সমূহ দেখতে পারেন।
তথ্যসূত্রঃ তাবাকাতুল কুবরাহ ইবনে সাদ, খন্ড- ২ , পৃ- ৩৩৬ / কিতাবুল সাকাত, খন্ড – ২ , পৃ- ১২৪ /
তাযকিরাতুল খাওয়াস , পৃ- ৩০ /
তারিখুল খামিস , খন্ড – ২ , পৃ- ১৪৯ /
সিরাহ হালবিয়াহ , খন্ড – ৩ , পৃ- ২৫৭/
তাফসীরে দুররে মানসুর , খন্ড – ৩, পৃ- ১১৭/
তাফসীরে কাবীর , খন্ড – ১২ , পৃ- ৫০ /
তাফসীরে মানারিজ, খন্ড – ২ , পৃ- ৮৬ /
তাফসীরে আলুসি , খন্ড – ২, পৃ- ৩৮৪ /
আসবাবুন নুযুল , পৃ- ১৩৫ /
শাওয়াহেদুত তানযিল , খন্ড – ১ , পৃ- ১৯২ /
তারিখে দামেস্ক , খন্ড – ২ , পৃ- ৮৬ /
ফাতহুল কাদির , খন্ড – ২, পৃ- ৬০ /
মাতালেবাস সাউল, খন্ড – ১, পৃ- ৪৪ /
ফুসুলুল মোহিম্মাা, পৃ- ৫৫ /
ইয়ানাবিউল মুয়াদ্দাত, পৃ- ১২০ /
আল মেনাল ওয়াল নেহাল, খন্ড – ১ , পৃ- ১৬৩ /
উমদাতুল কারী ফি শারহে বুখারী, খন্ড – ৮, পৃ- ৫৮৪ /
ফারায়েদুস সামতিনে, খন্ড – ১ , পৃ- ১৮৫ /
ফাতহুল বায়ান ফি মাক্বাসিদুল কোরআন , খন্ড – ৩ , পৃ- ৬৩ /আরজাহুল মাতালেব, পৃ- ১১৯ (উর্দ্দু) /
আল বিদায়া ওয়ান নিয়াহা , খন্ড – ৭, পৃ- ৬১২ – ৬১৬ /
ইসলামী বিশ্বকোষ, খন্ড – ১০, পৃ- ৩০৭ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) /সহীস বুখারী, খন্ড – ৫, পৃ- ২৮০ (হামিদীয়া লাইব্রেরী) / সীরাতুন নবী, খন্ড – ২, পৃ- ৬০৫ (তাজ কোং) / দৈনিক যুগান্তর , ৪ঠা মার্চ , ২০০২ ইং /
দৈনিক যুগান্তর , ২৩শে জানুয়ারী, ২০০৬ /
দৈনিক যুগান্তর, ২৮শে জানুয়ারী , ২০০৫ /
মেশকাত, খন্ড- ১১, হাদিস – ৫৮৪৪ /
মাসিক মদীনা , পৃ- ১৫ , জুন ২০০৫ /
তারিখে ইবনে কাসির , খন্ড – ৫ , পৃ- ২০৯ /
ঐতিহাসিক আল গাদীর , পৃ- ১২৮ /
আল মুরাজায়াত, পৃ- ২২২ /
তাফসীরে মাযহারি , খন্ড – ৩ , পৃ- ৭৩৩- ৭৫৩ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) ।
