বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫
কাদেরী টাইমস কলকাতা মেদিনীপুর সাহিত্য ইসলামিক রাজ্য দেশ আন্তর্জাতিক খেলা সম্পাদকীয় বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ ই – পেপার ও ম্যাগাজিন
সম্পাদকীয়

নৈতিক মূলবোধ বিবর্জিত স্বাধীনতা ও সামাজিক অবক্ষয়

জুবায়ের আহসান_

“নৈতিক মূল্যবোধ বিবর্জিত স্বাধীন নৈতিকতাঃ— ‘নৈতিকতা’ শব্দটি ইংরেজি ‘Ethics’ শব্দের বাংলারূপ।‛Ethics’ শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ ‛Ethica’ থেকে,এটি আবার ‛Ethos’ শব্দ থেকে এসেছে।যার অর্থ হচ্ছে চরিত্র।চরিত্রকে অভ্যাস ও রীতিনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত মনে করা হয়ে থাকে।অন্যদিকে ‘Ethics’ বা নীতিবিদ্যার সমার্থক হিসেবে ‘Moral Philosophy’ কথাটি ব‍্যবহার করা হয়।ইংরেজি ‛Moral’ শব্দটি আবার ল্যাটিন শব্দ ‛Mores’ থেকে এসেছে,যার অর্থ–অভ্যাস বা রীতিনীতি।কেবলমাত্র মানুষই থাকছে না,বরং আমাদের চারপাশের প্রকৃতি ও জীব- জগতের বিষয়াদি এক কথায় সামগ্রিক পরিবেশ পরিস্থিতি নৈতিক আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছে।কোনো বিশেষ আচরণের মান নির্ধারণ করা নয়,বরং সার্বজনীনভাবে গ্রহণযোগ্য মানবাচরণের মান বিচারই হলো নীতিবিদ্যা বা নৈতিকতা।নীতিজ্ঞান বা নৈতিকতা বলতে ন্যায়নীতি, মূল্যমান প্রভৃতির এক বিশেষীকৃত ও ব‍্যাপক রূপকে বোঝায়।সততা,ন‍্যায়- পরায়ণতা,কর্তব্যনিষ্ঠা,শান্তিপ্রিয়তা,ধর্মবোধ প্রভৃতি সদাচার ও সদগুণের সমাহারে সৃষ্টি হয় নীতিজ্ঞান বা নৈতিকতা।
মূল্যবোধঃ— ‘মুল্যবোধ’ হলো মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদন্ড।কতগুলো মনোভাবের সমন্বয়ে গঠিত অপেক্ষাকৃত স্থায়ী বিশ্বাসকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে মূল্যবোধ।মূল‍্যবোধ কথাটির আক্ষরিক অর্থ যোগ্যতা বা উৎকর্ষ।নীতিবিজ্ঞানের পরিভাষায়–“মূল্যবোধ হচ্ছে এমন একটি আদর্শের মাপকাঠি,যা মানুষের প্রয়োজন,দৃষ্টিভঙ্গি,আচরণ ও আকাঙ্খার নৈতিক,নান্দনিক এবং যৌক্তিক প্রাসঙ্গিকতা যাচাই করে।”
মূল‍্যবোধের পরিচয় সম্পর্কে সমাজ বিজ্ঞানীদের কিছু মতামতঃ— (ক)স্পেফারের মতে,“ভালো-মন্দ,ঠিক- বেঠিক ও কাঙ্খিত-অনাকাঙ্খিত বিষয় সম্পর্কে সমাজে বিদ্যমান ধারণার নাম মূল‍্যবোধ।”
(খ)এন,আর,ইউলিয়াম বলেন,“মুল্যবোধ হচ্ছে মানুষের ইচ্ছার একটি প্রধান মানদন্ড, যার আদর্শে মানুষের আচার-ব্যবহার, রীতিনীতি ও কার্যক্রম পরিচালিত হয় এবং যার মাধ্যমে সমাজস্থ মানুষের কর্মকান্ডের ভালো-মন্দ বিচার করা হয়।”
নৈতিক মূল্যবোধের ইসলামী দৃষ্টিকোনঃ– মূল্যবোধ হলো এমন এক ধরনের আদর্শ যা মানুষের আচরণের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে।পরিবার,সমাজ,রাষ্ট্রে বাস করতে গিয়ে যা করা উচিত আর যা করা উচিত নয় বলে ব্যক্তির মধ্যে যে বোধ জাগ্রত হয় সেই বোধই মূল্যবোধ।নৈতিকতা বলতে কিছু মূলনীতি ও মানদন্ডকে বোঝায়,যা মানুষের ব্যক্তিত্ব গঠন করে ও আচার- আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে।এসব মূলনীতি ও মানদন্ডের ভিত্তিতে পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।পরিবারে,সমাজে ও রাষ্ট্রে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য নৈতিকতার গুরুত্ব অপরিসীম।
কুরআন ও হাদীসের স্পষ্ট বক্তব্যসমূহ থেকে নৈতিকতা ও ইতিবাচক মূল্যবোধ প্রসঙ্গে ইসলামী দর্শন ও শিক্ষা অনুধাবন করা যায়।নবী করীম(সাঃ)-এর উদ্দেশ্যে আল্লাহতাআলা বলেন,“তুমি অবশ্যই মহান চরিত্রে অধিষ্ঠিত।”(সূরা আল কলম,আয়াত-৪)।নবী করীম(সাঃ) বলেন,“আমি উত্তম চরিত্র সমূহের পূর্ণতা সাধনের জন্য প্রেরিত হয়েছি।”(বায়হাকী ১৯৯৪,২০৫৭১)।উপর্যুক্ত কুরআনের আয়াত ও হাদীসে ইসলামে নৈতিকতাকে কতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।রাসূল(সাঃ) সর্বোচ্চ নৈতিক মানদন্ডে উত্তীর্ণ ছিলেন এবং তিনি নৈতিকতার পূর্ণতা সাধনের জন্যই প্রেরিত হয়েছিলেন।
স্বাধীনতাঃ– ‘স্বাধীনতা’ শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ ‘Liber’ থেকে,যার অর্থ Free বা মুক্ত।স্বাধীনতা বলতে সাধারণত আমরা বুঝি একজন ব্যক্তির উন্নতি,অগ্রগতি ও কল‍্যাণের পথে সমগ্র সামাজিক,রাজ- নৈতিক ও অন্যান্য বাধা থেকে মুক্তি।স্বাধীনতার বিভিন্ন প্রকারভেদ আছে।যেমন ব‍্যক্তি স্বাধীনতা,রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা,সামাজিক স্বাধীনতা,ধর্মীয় স্বাধীনতা।ব্যক্তি স্বাধীনতার মধ্যে নারী স্বাধীনতা কথাটি আজকাল বহু আলোচিত বিষয়।ব‍্যক্তি স্বাধীনতা বলতে বোঝায় একজন ব‍্যক্তি নিজের কল‍্যাণের জন্য স্বাধীনভাবে নিজের জীবন-জীবিকা, মত-পথ গ্রহণ করতে পারবে।রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা বলতে বোঝায় কোন রাষ্ট্র বা দেশের প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে নিজের দেশের জন্য যাবতীয় বিধি-বিধান রচনা করতে পারা।অনুরূপভাবে সামাজিক স্বাধীনতা বা ধর্মীয় স্বাধীনতা বলতে অন্য সমাজের বা অন্য ধর্মের প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে আপন সমাজের রীতিনীতি বা আপন ধর্মের বিধি-বিধান মেনে চলতে পারা।
মূল্যবোধ বিবর্জিত স্বাধীনতাঃ— মূল্যবোধ বিবর্জিত স্বাধীনতা বা লাগামহীন স্বাধীনতা অরাজকতা ও উচ্ছৃঙ্খলতার জন্ম দেয়।এর ফলে মানুষ স্বেচ্ছাচারি হয়ে ওঠে।অবাধ স্বাধীনতার নামে অবাধ যৌনাচার এবং মারণব্যাধি এইডস-এর আমদানি।আমাদের যুব সমাজ আজ নানা কারণে বিপথগামী।মানুষ গড়ার সর্বোচ্চ আঙ্গিনা বিশ্ব-বিদ্যালয় গুলোতে জাতির সন্তানেরা সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করতে এসে অমানুষ হয়ে বের হয়।ক্লাস ফাঁকি দিয়ে গার্ল ফ্রেন্ডদের নিয়ে ঘুরে বেড়ানো অথবা রাজনৈতিক কর্মকান্ডে নিজেকে জড়িত রেখে ক্যাম্পাসের নেতা সাজার চেষ্টায় জীবনের মূল্যবান সময়গুলি নষ্ট করে দেয়।ছাত্র-ছাত্রীদের অবাধ মেলামেশার সুযোগে তৈরী হয় অসংখ‍্য প্রেম উপাখ্যান।একজন মেয়ের সাথে একাধিক জনের প্রেম।তারপর সবল প্রেমিকের হাতে দুর্বল প্রেমিকের জীবন নাশ।আবার অনেকেই প্রেমিকার প্রতারণার জালে সর্বশান্ত হয়।প্রেমে ব‍্যর্থ হয়ে বেছে নেয় অন্ধকার জগতের পথ।মূল্যবোধ বিবর্জিত স্বাধীনতার ফলে,পড়ালেখা বাদ দিয়ে মাদকদ্রব্য সেবন ও নিষিদ্ধ জায়গায় বিচরণই হয়ে ওঠে তাদের একমাত্র কাজ।
পরকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত থাকার কারণে পরিবারগুলো ভেঙে খান খান হয়ে যাচ্ছে আজ।যার অবসম্ভাবি পরিণতি হল পারিবারিক হিংসা,বিদ্বেষ,খুন এবং রাগী বদমেজাজী উচ্ছৃঙ্খল এবং স্বার্থপর শিশুর আধিক্য দেখা দিচ্ছে সমাজে।শিশু- কিশোর,তরুণ-তরুণী,যুবক-যুবতী,ছাত্র- ছাত্রী নির্বিশেষে মোবাইল গেমিং, পর্ণোগ্রাফী এবং জুয়ার আসক্তিতে মেতে উঠেছে।গণহারে মাদকাসক্তির ফলে প্রবলভাবে বেড়ে চলেছে নারী নির্যাতন, গণ-ধর্ষণ,হত্যা-খুন,গুম ইত্যাদী যাবতীয় মূল্যবোধ বিবর্জিত অনৈতিক কার্যকলাপ।
নৈতিক মূল্যবোধ বিবর্জিত স্বাধীনতা মানব সমাজকে তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে বা সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হবে না।স্বাধীনতা মানুষের রাজ- নৈতিক ও সাংস্কৃতিক জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ঠিকই,কিন্তু অবাধ স্বাধীনতা এইসব ক্ষেত্রগুলিতে বিপর্যয় ডেকে এনেছে।
মানবাধিকারের ঘোষণাপত্রে স্বাধীনতার যে সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা অন্যের জন্য ক্ষতিকর না হয়,সেদিকে দৃষ্টি দেয়া হয়েছে।পশ্চিমা সভ্যতা বস্তুবাদকে উৎসাহিত করেছে।নীতি নৈতিকতাকে লঘু করে ছেড়েছে।অনৈতিকতার অন্ধ অনুসরণ স্বাধীনতার প্রকৃত ধারণাকে কালিমালিপ্ত করেছে।
বর্তমান পুঁজিবাদী সভ্যতা উদারনৈতিকতা,অবাধ স্বাধীনতা ও মুক্তমনার নামে মনুষ্য সমাজকে নানা দিক দিয়ে বিভ্রান্তির মধ্যে নিক্ষেপ করেছে। “আমার জীবন, আমার সিদ্ধান্ত,আমার দেহ,আমার পছন্দ”–প্রভাব ফেলেছে শালীনতা,নৈতিক মূল্যবোধ,যৌনতা, পারিবারিক ব্যবস্থাপনা ও দাম্পত্য জীবনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে।
সামাজিক অবক্ষয়ঃ— অবক্ষয় মানে ক্ষয়ে যাওয়া,হ্রাস পাওয়া,অবনতি ঘটা,পতন হওয়া ইত্যাদি।যেমন–সামাজিক অবক্ষয়, মূল্যবোধের অবক্ষয়,জাতীয় আদর্শের অবক্ষয়।বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় যে ধরণের কাজগুলো বেশি হতে দেখা যাচ্ছে তা হলো–মিথ্যাচার,ধর্মবিমুখতা,ইভটিজিং, নারী-শিশু নির্যাতন,ধর্ষণ,খুন,গুম ও নিরাপত্তাহীনতা,মাদকাসক্তের প্রবণতা, সুদ,ঘুষ,দুর্নীতি,প্রতারণা,স্বজনপ্রীতি,খাদ্যে ভেজাল,অশ্লীলতা,যিনা,ব্যভিচার,পর্ণোগ্রাফি,মবলিঞ্চিং,শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীদের যৌন হেনস্থাসহ সকল ক্ষেত্রে নৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয়।
বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় স্যাটেলাইট, মোবাইল প্রযুক্তি,ইন্টারনেট,সাইবার ক্যাফে এবং পর্ণো সিডির মাধ্যমে অশ্লীল ভিডিও ও স্থির চিত্র ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে নারী-পুরুষের পারিবারিক জীবন নানা রকম জটিল সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে,যা সামাজিক অবক্ষয়ের জন্য অনেকাংশে দায়ী।নারী স্বাধীনতার নামে নারীকে যথেচ্ছভাবে বিজ্ঞাপনসামগ্রী এবং পর্ণো- গ্রাফিতে ব‍্যবহার করা হচ্ছে।
ভারতের সর্বোচ্চ আদালত এক রায়ে পরকীয়াকে দোষণীয় নয় বলে রায় দেয়।এটা দাম্পত্য জীবনযাপনে বিশৃঙ্খলা ও অভিশাপ।সমকামে ভারতের দন্ড-নামার ৩৭৭ ধারায় শাস্তির বিধান রাখা ছিল।যা শীর্ষ আদালত তুলে নিয়েছে।ভারত উপমহাদেশের ‛সুনামী’ নামক বিধ্বংসী তান্ডবেও ছিল পরকীয়া ও সমকামের পাপাচার।এটা ছিল এককালের সমকামের প্রাকৃতিক শাস্তি।এর সঙ্গেই LGBT-র ন‍্যাক্কারজনক কুকর্মও।আজ এইডস সহ নানা মহামারী দেখা যাচ্ছে। সামাজিক অবক্ষয়ের একটা কারণ এটাও।
উপসংহারঃ— ইসলামের দৃষ্টিতে নৈতিকতার গুরুত্ব অপরিসীম।মানুষের নৈতিকতা ও চরিত্রকে সুন্দর ও মার্জিত করার বিষয়টা ইসলাম যে কত গুরুত্ব দিয়েছে,তা বলে শেষ করা যাবে না।ইসলাম ও নৈতিকতা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত ও অবিচ্ছেদ্য।উত্তম নৈতিক চরিত্র শিক্ষা দেওয়ার জন্য আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) সর্বোত্তম আদর্শ।এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন,“তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।”(সূরা আহযাব,আয়াত-২১)।
মহানবী(সাঃ) বলেন,“মুমিনদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই পূর্ণতম ঈমানের অধিকারী,যে ব্যক্তি নৈতিক চরিত্র বিচারে উত্তম।”(তিরমিযী-১৯৯৮,১১৬২)।
রাসূলুল্লাহ(সাঃ) আরো বলেন, “কিয়ামতে মুমিনের দাঁড়িপাল্লায় সবচেয়ে ভারী জিনিস হবে উত্তম নৈতিক চরিত্র।”(তিরমিযী-১৯৯৮,২০০৩)।
নৈতিক মূল্যবোধ বিবর্জিত স্বাধীনতা ও সামাজিক অবক্ষয় রোধে তথা নৈতিক মূল্যবোধ রক্ষায় ইসলামের প্রকৃত শিক্ষাই যাবতীয় অনাচার হতে ভারতবর্ষের মানুষকে মুক্ত রাখার একমাত্র উপায়।( উপরিউক্ত লেখাটি লেখকের ব্যক্তিগত মতামত)।

_____________________________

তথ্যসূত্রঃ–
১। মাসিক মদীনা- জানুয়ারী, ২০০০।
২। সাপ্তাহিক মীযান (নৈতিকতাই স্বাধীনতার ভিত্তি), বিশেষ সংখ্যা,২৫ আগষ্ট ২০২৪।
৩। সাপ্তাহিক মীযান, ৫১বর্ষ, ৪৭ সংখ্যা,১লা সেপ্টেম্বর ২০২৪।
৪। ইসলামী আইন ও বিচার, বর্ষ-১৭,সংখ্যা-৬৭,জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০০১

SHARE

Related posts

রোজা কী আত্মার শুদ্ধিকরণ

Admin@sangba

ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা অর্জনের সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত

Qadri Times

দুর্গা প্রতিমা তৈরিতে কেন পতিতালয়ের মাটি ব্যবহার করা হয়?

Admin@sangba

Leave a Comment

হোম
ট্রেন্ডিং
ভিডিও
ই-পেপার
যোগাযোগ