
কাদেরী টাইমস অনলাইনঃ এস এম মঈনুল হক ,সাগরদিঘী, মুর্শিদাবাদ
মহা আসমানী গ্রন্থ আল-কুরআনে উল্লেখিত আছে – হে ঈমানদারগণ তোমাদের ওপর রোযা ফরজ করা হইয়াছে তেমন তোমার পূর্ববর্তীদের উপর ফরয করা হয়েছিল, যাতে তোমাদের পরহেয্গারী অর্জিত হয়।
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান মাসকে তিনটি অংশে ভাগ করেন। প্রথম দশ দিন রহমত দ্বিতীয়, দশদিন মাগফেরাত এবং তৃতীয় দশ দিন নাযাত। নাযাতের বিজড় রাত্রিগুলোতে শব-এ-ক্বদর ঘটে থাকে। সেই রাত্রীর ইবাদাত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে উত্তম। কুরআনের কদর সূরায় উল্লেখিত আছে- নিঃসন্দেহে আমি কুরআন পাককে ক্বদরের রাত্রিতে নাযিল করেছি। আর আপনি কি জানেন? কদরের রজনী কি? কদরের রজনী হাজার মাস হইতেও উত্তম। ইহাতে ফিরিশতাগণ এবং রূহ ( হযরত জিবরীল আঃ) আপন প্রতিপালকের আদেশে প্রত্যেক কল্যান জনক কাজ সহকারে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। ইহা হচ্ছে শান্তিপূর্ণ রজনী। ফজর প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত বর্তমান থাকে। সামগ্রিকভাবে বিজোড় রাত্রীতেই কি ক্বদর ঘটে থাকে? ভারতীয় উপমহাদেশের দুটি দেশের কথা উল্লেখ করছি। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ এবং ভারতের রাজধানী নিউ দিল্লির কিছু পার্থক্যের কথা উল্লেখ করছি। রিয়াদের অক্ষাংশ- ২৪ ডিগ্রী ৩৮মিনিট N এবং দ্রাঘিমাংশ- ৪৬ ডিগ্রী ৪৩ মিনিট E. নিউ দিল্লির অক্ষাংশ- ২৮ ডিগ্রী ৬৭ মিনিট N এবং দ্রাঘিমাংশ- ৭৭.২২ মিনিট E. ভৌগলিক এই পার্থক্যের কারনে ভারতের সঙ্গে সৌদি আরবের IST ( International Standard Time) এর পার্থক্য আড়াই ঘন্টা। অর্থাৎ একই দিনে এই পার্থক্যের কারণে সৌদি আরব ভারতের থেকে এক দিন আগেই চাঁদ উঠা দেখতে পায়। শুধু এই কারণে সৌদি আরব আড়াই ঘন্টা পার্থক্যের জন্য একদিন আগেই শব এ ক্বদর পালন করতে পারে। তার পর দিনই ভারতবাসী শব এ ক্বদর পায়। আড়াই ঘন্টা পার্থক্যের জন্য চব্বিশ ঘণ্টার অপেক্ষা। অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যাচ্ছে আড়াই ঘন্টা পার্থক্যের জন্য নাযাতের শুধু বিজড় নয়, প্রত্যেক রাতই শব এ ক্বদর । যদিও এটা একটা লক্ষ্যণীয় বিষয় তবুও আমাদিগকে নাযাতের বিজড় রাত্রীগুলোতেই শব এ ক্বদর পালন করতেই হবে।