ভোঁ কাটা। শুনলেই আকাশে পানে তাকিয়ে খুঁজে বেড়াই কার ঘুড়ি কাটলো। এমন অভিজ্ঞতা কম বেশি সকলেরই আছে। বিশেষ করে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ঘুড়ির লড়াই উপভোগ করেন আপামর বাঙালি। কিন্তু কিভাবে নানা রঙের এই ঘুড়ি আকাশে ওড়ে? আজ আমরা জেনে নেব ঘুড়ির আকাশে ওড়ার পিছনে বিজ্ঞানের নীতি নিয়ম।ঘুড়ি বাতাসের থেকে ভারী অথচ অনেক উঁচুতে উড়তে পারে । ঠিক যেভাবে এরোপ্লেন ওড়ে অনেকটা সেরকম ভাবেই বিভিন্ন বল ও চাপের পারস্পরিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া কে কাজে লাগিয়ে ঘুড়ি ওড়ে। সুতোর টান,ঘুড়ির ওজন,বাতাসের উর্ধমুখী বল ও ঘাত এরা একসঙ্গে কাজ করে ঘুড়িকে বাতাসে ভাসিয়ে রাখে। ঘুড়ির বিশেষ আকার ও কোণ করে ওড়ার জন্য বায়ুর গতি ঘুড়ির উপরে বেশি হয় তুলনামূলক ভাবে ঘুড়ির ঠিক নীচে বায়ুর বেগ কম। বার্নৌলির(Bernoulli) নীতি অনুযায়ী বায়ু প্রবাহের বেগ বেশি হলে চাপ কম হবে এবং বেগ কম হলে চাপ বেশি হবে। তাই ঘুড়ির নীচের দিকে বায়ুর উর্ধমুখী বল কাজ করে এবং ঘুড়িকে উপরে তুলতে থাকে। আবার ঘুড়ির নিজস্ব ভরের জন্য পৃথিবীর অভিকর্ষ বল একে নিজের কেন্দ্রের দিকে টানতে থাকে এটা ওজন হিসাবে ঘুড়িকে নীচে নামাতে চায়। সুতোর টানের জন্য ঘুড়ি সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটা ঘাত(thurst) বল অনুভব করে। একই সঙ্গে ঘুড়ির সামনে পিছনে বাতাসের বেগের হেরফের ও ঘুড়ির সাথে বাতাসের ঘর্ষণের জন্য পিছনের দিকে একটা বল(drag) কাজ করে এটা অগ্রগামী গতির ঠিক বিপরীতে পিছনের দিকে কাজ করে । ঘুড়ি উপরে তুলতে হলে উর্ধমুখীবল কে ঘুড়ির ওজনের থেকে বেশি হতে হবে। আর ঘুড়িকে বাতাসে ভালোভাবে উড়তে হলে এই চারটি বল পরস্পরের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ায় মাধ্যমে ঘুড়িকে প্রতিমিত(balanced) অবস্থায় রাখতে হবে।তথ্য সূত্রঃ1)https://airandspace.si.edu/stories/editorial/how-kites-fly#:~:text=Lift%20is%20the%20upward%20force,air%20moving%20over%20the%20bottom.2)https://universe.dk/en/bliv-klog/kites-the-sky