বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫
কাদেরী টাইমস কলকাতা মেদিনীপুর সাহিত্য ইসলামিক রাজ্য দেশ আন্তর্জাতিক খেলা সম্পাদকীয় বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ ই – পেপার ও ম্যাগাজিন
ইসলামিক

বজ্রপাতের সময় যে দু’আ পড়া প্রয়োজন

কাদেরী টাইমস অনলাইন ডেস্ক :

মেঘের গর্জন ও বজ্রপাত প্রকৃতির স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। মহান আল্লাহ তাআলা প্রকৃতির এ নিয়ম নিদ্ধারণ করে নিয়েছেন। বজ্র নিদানের মাধ্যমে প্রকৃতি মহান আল্লাহর একাছুর আধিপত্য তাঁর পরিপূর্ণতা ও মহিমা বর্ণনা করে তাকে। এছাড়াও মেঘমালা সৃষ্টি ও বৃষ্টিপাত ঘটানোর দায়িত্বে নিয়োজিত ফেরেশতারা মেঘের গর্জনের সৃষ্ট আতঙ্কে আরো বেশী আল্লাহর মহিমা ও গুণকীর্ত্তন করেন এরপর যখন বৃষ্টি হতো তখন মহানবী(সা.) শান্ত হতেন।আয়েশা (রা.) আবো বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.) কে বিষয়ে জিজ্ঞাসে করেছি যে লোকজন মেঘ দেখলে বৃষ্টির আশায় তানন্দিত হয়ে থাকে, আর আপনি তা দেখে চিন্তিত হয়ে পড়েন? এর জবাবে রাসুল(সা.) বলেন, ‘আমি এ ভেবে শঙ্কিত হই যে বৃষ্টি আমার উম্মতের ওপর আজাব হিসেবে পতিত হয় কি না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহতাআলা ইরশাদ করেন, তার। আল্লাহর। সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোয়না করে বজ্রধ্বনি এবং ফেরেশতারাও সভয়ে তাঁর তাসবিহ পাঠ করে।। তিনি বজ্রপাত করেন এবং যাকে ইচ্ছা তা দিয়ে আঘাত করেন। তারপরও তারা আল্লাহ সম্পর্কে বিতন্ডা করে। অথচ তিনি মহাশক্তিশালী। (সূরা বাদ, আয়াত ১৩) বজ্রপাতের কারণে প্রলয়ঙ্করী শব্দ হয়।বজ্রপাত কখনো কারো প্রাণ কেড়ে নেয়। আবার কখনো কারো কোনো ক্ষতি হয়না। এসব আল্লাহর নিরভূশ অস্তিত্বের প্রমাণ বহন করে। বৃষ্টি আল্লাহর রহমতের নিদর্শন। কিন্তু কখনো আবার বৃষ্টি আজাবেরও রূপ নিতে পারে। বৃষ্টির কারণেও প্রাকৃতিক বৈরিতার কারণে অনেকে কষ্টে পড়েত পারেন। নানা ধরণের অসুবিধা তৈরি হতে পারে। আয়েশা (রা.) বলেন, যখন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হতো এবং ঝোড়ো বাতাস বইত তখন রাসূল (সা.) এর চেহারায় চিন্তার রেখা ফুটে উচত। এই অবস্থা দেখে তিনি এদিক সেদিক এ দোয়া পড়তে থাকতেন, ‘আল্লহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা ওয়া খাইরা মা-ফিহা ওয়া শাররি মা-উরসিলাত বিছি।’ অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে এ বৃষ্টির মাধ্যমে প্রেরিত সমূহ কল্যাণ প্রর্থনা করছি, তার এ বৃষ্টির মাধ্যনে প্রেরিত সমূহ বিপদাপদ থেকে পরিত্রাণ চাই।’ আয়েশা (রা.) আরো বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে এ বিষয়ে জিজ্ঞসে করেছি যে লোকজন মেঘ দেখলে বৃষ্টির আশায় আনন্দিত হয়ে থাকে, আর আপনি তা দেখে চিন্তিত হয়ে পড়েন? এর জবাবে রাসুল (সা.) বলেন, আমি এ ভেবে শঙ্কিত হই যে বৃষ্টি আমার উম্মতের ওপর আজাব হিসেবে পতিত হয় কি না। কেননা আগের উম্মতদের ওপর এ পদ্ধতিতে (বৃষ্টি বর্ষণের আকারে) আজাব পতিত হয়েছিল। (মুসলিম, হাদিস নং ৮৯৯) তাই ঈমানদারদের উচিত, আকাশে বৃষ্টির ভাব দেখলে উল্লিখিত দোয়া পাঠ করা। অন্যদিকে বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে মহানবী(সা) একটি বিশেষ দোয়া পড়তেন। এ দোয়া পাঠ করা হলে ইনশআল্লাহ বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রাসুল্লাহ (সা.) যখন বজ্রের আওয়াজ শুনতেন তখন এ দোয়া পড়তেন, ‘আল্লহুম্মা লা-তাইতুলনা বিগাজাবিকা ওয়া লা-তুহলিকনা বিষযা-বিকা ওয়া-ফিনা-ত্ববলা জা-লিকা। অর্থাৎ হে আল্লহ, আপনি আমাকে আপনার গজব দিয়ে হত্যা করে দেবেন না এবং আপনার আজাব দিয়ে সবংস করে দেবেন না। এসবের আগেই আপনি আমাকে পরিত্রাণ দিন। (তিরামিজ, হাদিস নং: ৩৪৫০)আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা) বজ্রপাতের শব্দ শুনলেই পড়তেন, সুবহানাল্লাজি ইয়ুসাবিবহুর রা’অদু বিহামদিহি। অন্য রেওয়ায়েতে আছে, ইবনে আবি জাকারিয়া থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বর্ণিত আছে, যে ব্যাক্তি বজ্রের আওয়াজ শুনে এ দোয়া পড়বে, ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সে বজ্রে আঘাতপ্রাপ্ত হবে না ইনশাআল্লাহ।

SHARE

Related posts

আবে জমজম: সৃষ্টির ইতিহাস ও বসতি স্থাপন

Qadri Times

শাওয়াল মাসের ৬টা রোজা

Qadri Times

মহানবী (স:) এর মেরাজ মোবারক

Qadri Times

Leave a Comment

হোম
ট্রেন্ডিং
ভিডিও
ই-পেপার
যোগাযোগ